চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচে তুর্কেমেনিস্তানের দল আলতাইনের বিরু্দ্ধে ২-৩ গোলে হেরে গেল ইস্টবেঙ্গল। চূড়ান্ত জঘন্য ডিফেন্ডিং-এর কারণে এই হার হজম করতে হল লাল-হলুদকে। ম্যাচের ৭ মিনিটে আলতাইনের গোলরক্ষকের ভুল রিসিভিং থেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন ডেভিড। ডিফেন্সের লাগাতার ভুল এবং কভারিংয়ের ব্যর্থতার কারণে এই ম্যাচে বারবার ভুগতে হল ইস্টবেঙ্গলকে।
১৮ মিনিটে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে আলতাইন। গোলটি করেন মায়রাত আনাইউ। এই গোলের পরআরও বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে তুর্কেমেনিস্তানের দল। দশ মিনিটের মধ্যে ২৮ মিনিটে খেলার ফল আল তাইনের পক্ষে ২-১ করেন সেলিম নুরমুরাদোভ। পিছিয়ে পড়লেও ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ এবং আক্রমণভাগ ম্যাচ থেকে কিন্তু হারিয়ে যায়নি। কিন্তু যে ভাবে দুই ব্যাক ঝুলিয়েছে তাতে কাজটা বারবার কঠিন হয়ে গিয়েছে কার্লেস কুয়াদ্রাতের দলের জন্য। ইস্টবেঙ্গল তৃতীয় যে গোলটি হজম করে সেটিও ডিফেন্সের ভুলেই। ডান প্রান্ত বরাবর গতিতে দৌড় এবং সেখান থেকে মাইনাই প্রথম বারে প্রভসুখন গিল বাঁচালেও ফিরতি বল থেকে দলের পতন রুখতে পারেননি পঞ্জাব তনয়।
আলতাইনের তৃতীয় গোলটি আসে ৫৩ মিনিটে মিখাইল তিতোভের সৌজন্যে। ৫৯ মিনিটে পাঁচ জন ফুটবলারকে কাটিয়ে বিশ্বমানের গোল করে সাউল ক্রেস্পো দলকে খেলায় বাঁচিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত ২-৩ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয় ইস্টবেঙ্গলকে। যদিও এই ম্যাচের রেফারিং নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু রয়ে গেল। ম্যাচের শেষ লগ্নে ক্লেটন সিলভার গোল দিয়েও বাতিল করে দেন রেফারি। গোলের ইন্ডিকেশন করার পর সহকারীর রেফারির সিদ্ধান্তের উপর ভর করে সেই গোল বাতিল করে দেওয়া হয়। এই হারের ফলে ইস্টবেঙ্গল এ বার খেলবে এসিএল ৩-এ চ্যালেঞ্জার্স কাপে।