আরজিকর হাসপাতালে মহিলা পিজিটি চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন ঘিরে উত্তাল দেশ ও রাজ্য রাজনীতি। এই নারকীয় ঘটনার দিন ঠিক কী হয়েছিল? শোনা যাচ্ছে ওনেক কিছুই, কিন্তু তার কতটা সত্যি আর কতটা মিথ্যে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। বুধবার ‘ঠিক কী ঘটেছিল’ সেই প্রশ্নের উত্তর সবিস্তারে জানালেন আরজি করের ফুসফুস এবং বক্ষরোগ বিভাগের প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরী।
গত কয়েক দিন ধরে বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন আরজিকরের জুনিয়র ডাক্তারেরা। অরুণাভকে ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন তাঁরা। বুধবার প্রথম প্রকাশ্যে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নিহত মহিলা চিকিৎসকের বিভাগীয় প্রধান। সাংবাদিকেরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ওই ঘরে এক জনের উপর অত্যাচার করা হল। তাঁর চিৎকার কেউ শুনতে পেল না। উত্তরে অরুণাভ বলেন, ‘‘ওই ঘরে এসি চলে। এসি চললে ভিতরের আওয়াজ বাইরে আসে না। তবে আমি জানি না, সেই সময় সেখানে এসি চালানো ছিল কি না।’’
একইসঙ্গে তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানান ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মী। তৎক্ষণাৎ অরুণাভ ফোন করেন আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং তৎকালীন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে। খবর পেয়ে তিন জনেই ঘটনাস্থলে আসেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে অরুণাভরা কী দেখেছিলেন, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ‘‘আমি সে ভাবে দেখিনি। যে বর্ণনা আমি শুনেছিলাম, তা শোনার পরে কাছেও যাইনি। আমি দূর থেকে দেখেছিলাম মেয়েটি পড়ে রয়েছে। তার পোশাক-আশাক অবিন্যস্ত। সে রক্তাক্ত ছিল কি না, তা-ও বুঝতে পারিনি।’’
নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের দাবি রাতেই তাঁদের জানানো হয় তিনি আত্মহত্যা করেছেন। যদিও অরুণাভের দাবি, তিনি জানেন না, কে ওই কথা বলেছেন। তিনি অন্তত কাউকে এমন কিছু বলার নির্দেশ দেননি। বরং সেই সময় নাকি মেয়েটির বাড়িতে খবর দেওয়ার জন্য ফোন নম্বর খোঁজা শুরু হয়। প্রথমে ওর আধার কার্ড খোঁজা হয়। তাতে ওর নিজেরই মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। পরে কলেজের এক পড়ুয়া বাড়ির নম্বর দেয়। আমি এক মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে নম্বরটি দিয়ে বলেছিলাম বাড়িতে খবর দিতে। কিন্তু আত্মহত্যার কথা বলতে বলিনি।’’