ভারতবর্ষ স্বাধীন হলেও সমাজ এখনও সভ্য হয়নি তা তিলোত্তমার মৃত্যুই প্রমাণ করে দিয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের আগেই এমন লজ্জাজনক ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে গোটা দেশ। বিক্ষোভ, প্রতিবাদ, মিছিলে সামিল হয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। দাবি একটাই, নারী সুরক্ষা। সকল নারীকেই বিভিন্ন কর্পোরেট জগতে নাইট ডিউটি করতে হয়, কিন্তু তাঁদের সুরক্ষা কোথায় আজ? একজন জুনিয়র চিকিৎসককে এই ভাবে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ করে খুন করা হয় কী করে? সমস্ত প্রশ্নের উত্তর চায় তাঁরা।
সহকর্মীকে হারিয়ে এই ধিক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে প্রায় সকল সরকরি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। জরুরি বিভাগ ছাড়া সমস্ত বিভাগই বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। তাঁদের সকলের একটাই দাবি তিলোত্তমার দোষীদের যেন কঠোর শাস্তি হয়। এর বিচার যেন সঠিক হয়। আর এই লজ্জাজনক ঘটনার প্রতিবাদে স্বাধীনতা দিবসের মধ্যরাতে নারীর সুরক্ষার দাবিতে পথে নামছে গোটা নারী সমাজ। আরও একবার এ রাজ্য তথা পুরো দেশ দেখতে চলেছে নারী আন্দোলন। কারণ স্বাধীনতার মধ্যরাতে পথে নামবেন হাজার-হাজার মহিলা। রাস্তা দখল করবেন তাঁরা। নিজেদের স্বাধীনতার জন্য। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদের জন্য। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে মহিলারা ‘মধ্যরাত দখলের’ কর্মসূচি নিয়েছেন কলকাতা থেকে জেলায় জেলায়।
তবে এখানেই শেষ নয়, মঙ্গলবার রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, বুধবারের কর্মসূচিতে তিনিও যোগ দেবেন। যা নিয়ে কার্যত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে তৃণমূলের অন্দরে।
সুখেন্দু তাঁর পোস্টে মঙ্গলবার রাতে লিখেছেন, “কালকে আমিও প্রতিবাদে যোগ দেব। কেন না লক্ষ লক্ষ বাঙালির মতো আমিও এক জন মেয়ের বাবা, নাতনির দাদু। মেয়েদের বিরুদ্ধে হিংসা অনেক হয়েছে। চলুন সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। যাই হোক না কেন।”