২২ ডিসেম্বর রবিবার পালিত হল সারদা মায়ের জন্ম তিথি। এই মুহূর্তে দেখা যাক, মা সারদার কিছু অবিস্মরণীয় বাণী-
সারদা মা বলছেন,’কর্মফল ভুগতেই হবে। তবে ঈশ্বরের নাম করলে, ফাল সেঁধুত, সেখানে সুঁচ ফুটবে। জপ তপ করলে কর্ম অনেকটা খণ্ডন হয়।’ আরও এক বাণীতে মা বলছেন,’ যদি শান্তি চাও.. কারও দোষ দেখোনা। দোষ দেখবে নিজের। জগতকে আপনার রে নিতে শেখো। কেউ পর নয়।’
সারদা মা বলছেন,’কত সৌভাগ্য মা এই জন্ম। খুব করে ভগবানকে ডেকে যাও। খাটতে হয়, না খাটলে কি কিছু হয়? সংসারে কাকর্মের মধ্যেও একটি সময় করে নিতে হয়।’ নিত্যদিনের ঝুট ঝামেলা নিয়ে মা সারদা বলছেন, ‘ভাঙতে সবাই পারে, গড়তে কতজন পারে? নিন্দা, ঠাট্টা করতে পারে সবাই, কিন্তু তাকে কী করে ভালো করতে হবে , তা বলতে পারে ক’জন?’ মা সারদা বলছেন, ‘কাজ করা চাই বইকি! কর্ম করতে করতে কর্মের বন্ধন কেটে যায়। তবে আসে নিষ্কামভাব। একদণ্ডও কাজ ছেড়ে থাকা উচিত নয়। ’
কোন নীতি আদর্শে চলবে জীবন? মা সারদা বলছেন,’একশ জনকে খাওয়াতে হবে না। কিন্তু চোখের সামনে একজন ক্ষুধার্তকে দেখলে তাঁকে একটু খেতে দিও।’ সারদা মা বলছেন,’মনটাকে বসিয়ে আলগা না দিয়ে কাজ করা ঢের ভালো। মন আলগা হলেই যত গোল বাধায়।’ মা প্রশ্ন করছেন, ‘দয়া যাঁর শরীরে নাই, সেকি মানুষ? সে তো পশু!’ এরইসঙ্গে মা সারদা বলছেন,’আমি কখনও কখনও দয়ায় আত্মহারা হয়ে যাই ভুলে যাই আমি কে! ‘
মা সারদা বলছেন,’যিনি সর্বদা ইষ্ট চিন্তা করেন, তার অনিষ্ট আসবে কোথা দিয়ে।’ ভালোবাসা নিয়ে মা সারদার বাণী,’সকলের ওপর সমান ভালোবাসা হয় কী করে জানো? যাঁকে ভালোবাসবে, তাঁর কাছে প্রতিদান কিছু চাইবে না। তবেই সকলের ওপর সমান ভালোবাসা হয়।’ মা সারদা পথ দেখিয়ে বলছেন,’ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু হয়। জোর করে কায়দায় ফেলে কাউকে দিয়ে কিছু করানো যায় না।’ সুখের রাস্তা কী? মা সারদা বলছেন,‘যে অল্পেই তুষ্ট থাকে, তাঁর কাছে এই পৃথিবীর সব দুঃখ কষ্টই অনেক হালকা হয়ে যায়। ’