চলছে ডিসেম্বর মাস, তাই এটা শীতকাল। বাস্তুশাস্ত্র বলছে যে শীতকালে আমাদের ঘরেও কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি। বাস্তুর এই পরামর্শ মেনে না চললে নেগেটিভ এনার্জি বাড়িতে প্রবেশ করবে। এই নেগেটিভ এনার্জি আমাদের সুখ, শান্তি ও স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। জেনে নিন শীতকালে বাস্তুর কোন কোন নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
গুড় দান
জ্যোতিষবিদরা জানাচ্ছেন যে শীতকালে ঘি ও গুড় অবশ্যই খাওয়া জরুরি। জীবনে সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধি পেতে হলে শীতকালে প্রতিদিন একটু করে হলেও ঘি ও গুড় খান। জ্যোতিষ মতে গুড়ের সঙ্গে সূর্যের সম্পর্ক রয়েছে। তাই এই সময় গুড় খেলে সুর্যের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। তার সঙ্গে শীতকালে গুড় দান করাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই সময় গুড় দান করে সমাজে আপনার মান সম্মান ও প্রভাব প্রতিপত্তি বাড়বে। গুড় দান করলে ধন সম্পদও বৃদ্ধি পাবে এবং গ্রহের অশুভ দশা থেকে মুক্তি পাবেন আপনি।
ঘরের পর্দা
বাস্তু মতে শীতকালে দরজা জানালায় মোটা পর্দা লাগানো শুভ নয়। কারণ বেশি মোটা পর্দা ঝুললে সূর্যের আলো ঘরে প্রবেশ করতে বাধা পাবে। আর সূর্যের আলো ঘরে না এলে পজিটিভ এনার্জিও প্রবেশ করতে পারবে না।
ফায়ারপ্লেস
যে সব জায়গায় ফায়ারপ্লেস বা রুম হিটারের প্রয়োজন পড়ে, সেখনে এটি ঘরের কোন দিকে রাখবেন, তা বাস্তু অনুসারে জেনে নেওয়া জরুরি। ঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে ফায়ার প্লেস বা রুম হিটার রাখুন। কারণ এই দিকটি আগুনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ভুল দিকে ফায়ারপ্লেস থাকলে পরিবারের সদস্যরা আর্থিক সংকট-সহ আরও নানা সমস্যার মুখে পড়তে পারেন।
ধুনো জ্বালানো
বাস্তু অনুসারে শীতকালে ঘরে ধুনো জ্বালানো অত্যন্ত শুভ। ঘরে ধুনো দিলে তা অশুভ শক্তিকে বিদায় করে। শীতকালে যেহেতু সূর্যের আলো কমে যায়, তাই নেগেটিভ এনার্জি বৃদ্ধি পায়। এই নেগেটিভ এনার্জির থেকে ঘরে নানা রকমের সমস্যা, অশান্তি, মানসিক অবসাদ, অসুখ বিসুখ দেখা দিতে পারে। সেই কারণে শীতকালে সপ্তাহে দু-বার করে ধুনো জ্বালানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।