শীতের মরসুম এলেই মাথার ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় এই সময় খুশকি, চুল ঝরা-সহ নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। চুলের ধরন রুক্ষ হলে এই মরসুমে সমস্যা বেড়ে যায় আরও।

এমন সময় চুলে আর্দ্রতা জোগাতে কাজে আসতে পারে তেল। এমনিতে বছরভরই মাথায় তেল মাখা চলে। ঈষদুষ্ণ তেল গরম করে মাথায় মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, হেয়ার ফলিকল মজবুত হয়, যা চুল পড়া কমায়। চুলের বাড়-বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। কিন্তু কোন তেল মাখবেন? নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, কাঠ বাদামের তেল কোনটি? কোনও একটি তেল না মেখে রকমারি উপকরণে শীতের চুলের যত্নে বানিয়ে ফেলতে পারেন বিশেষ তেল।

কী থাকবে এতে?

নারকেল তেল: এই তেলে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। নারকেল তেলে থাকা লরিক অ্যাসিড চুলকে পুষ্টি জোগাতে এবং মজবুত করতে সাহায্য করে।

অলিভ অয়েল: এই তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ, ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। যা চুলকে ভিতর থেকে ময়েশ্চারাইজ় করতে সাহায্য করে।

ক্যাস্টর অয়েল: একটু ঘন এই তেলটি চুলের বাড়-বৃদ্ধির জন্য বিশেষ উপকারী। রুক্ষ চুলে আর্দ্রতা জোগাতে এবং তা ধরে রাখতে তেলটি বিশেষ কার্যকর।

জোজোবা অয়েল: চুলের পরিচর্যায় জোজোবা তেলও ব্যবহার হয়। চুলকে পুষ্টি জোগাতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে এই তেল বিশেষ উপযোগী।

আর্গান অয়েল: ভিটামিন ই এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ তেলটি চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখাতে সহায়ক। ভিটামিন ই মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে, চুলে জেল্লা ফেরাতে সাহায্য করে।

কীভাবে তৈরি করবেন তেল?

একটি কাচের পাত্রে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল, ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল, জোজোবা অয়েল এবং আর্গান অয়েল মিশিয়ে নিন।

তেলের পাত্রটি গরম জলে কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখুন। হালকা গরম হলেই তা মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত ভাল ভাবে মেখে নিন। ১০-১৫ মিনিট হালকা হাতে মালিশ করে আধ বা এক ঘণ্টা চুলে রাখুন। তার পরে মৃদু কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তবে নোংরা চুলে তেল মালিশ করা অনুচিত। তেল মালিশের আগের দিন চুলে শ্যাম্পু করে রাখতে পারেন। আরও ভাল ফল পেতে, এই তেলের সঙ্গে ৫ ফোঁটা করে রোজমেরি বা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here