শীতকালে অনেকের চোখ শুকিয়ে যেতে থাকে। যে কারণে চোখে দেখতে খুব অসুবিধা হয়। তাই শীতকালে চোখের যত্ন নেওয়া খুব দরকার। চোখ শুষ্ক হয়ে গেলে চোখ লাল হয়ে যেতে থাকে।
চোখ চুলকাবে, ভালভাবে চোখের দেখতে পাবেন না আপনি। এই সমস্যার কারণে চোখের কিন্তু এই রোগগুলি বাড়তে থাকে। যাতে কিন্তু অনেক সমস্যা হয়, আপনি কিন্তু শীতকালে বিশেষত চোখের যত্ন নেবেন।
কী কী সমস্যা হয়
চোখ শুষ্ক হয়ে যাবার কারণে নানা ধরনের সমস্যার চোখে দেখা দেয়। অনেক সময় চোখ চুলকায়, চোখ জ্বালাজ্বালা করে, চোখ লাল হয়ে যায়। চোখে দেখতে অসুবিধা হয়। বিশেষত রাতে গাড়ি চালালে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে। শুষ্ক বাতাস ও হিটারের কাছে বসে থাকলে এই সমস্যাগুলি কিন্তু ক্রমশ বাড়তে থাকে। তাই আগেই সাবধান হোন আপনি।
কমতে পারে দৃষ্টিশক্তি
যাদের চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের চিকিৎসা করানোর খুব প্রয়োজন। চোখেরই সমস্যা গুলি থাকলে সংক্রমনের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। এমনকি দৃষ্টিশক্তি কমতে পারে। আর চোখে শুষ্কতার কারণে আপনার দৈনন্দিন কাজে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। আপনার জীবনেও নানান সমস্যা আসবে।
হিটারের সামনে বসবেন না
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে তাদের কিন্তু আই ড্রপ ব্যবহার করা উচিৎ। এতে আপনাদের চোখে আদ্রতা বজায় থাকবে। তাছাড়াও জীবনযাত্রা আমূল পরিবর্তন আনা খুব দরকার। যেমন এয়ারকন্ডিশন, ধোঁয়া, বাতাস ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিৎ। শীতকালে সরাসরি হিটারের সামনে বসবেন না। এতে চোখের সমস্যা বাড়তে পারে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবেন
এমনকি বেশিক্ষণ ফোন, ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাবেন। চোখে একটু বিশ্রাম রাখার চেষ্টা করুন। যে কাজগুলি আপনার চোখের শুষ্কতা বাড়িয়ে দেয় তা অবিলম্বে ত্যাগ করুন।
চশমা পরুন
হেয়ার ড্রায়ার, কার হিটার, এয়ারকন্ডিশন, ফ্যানের সামনে সরাসরি বসবেন না। মোবাইল বা ল্যাপটপে কাজ করবেন সেই সময় চশমা পরে কাজ করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার চোখকে কিন্তু আপনি বাঁচাতে পারবেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে চোখে বিশ্রাম দিন। চোখের উপর চাপ যাতে না পড়ে সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখুন।
ধূমপান এড়িয়ে চলুন
রাতে ঘুমানোর আগে অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল দেখা বন্ধ করুন। ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধূমপানের অভ্যাস আপনার চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চোখকে ভালো রাখতে চোখের শুষ্কতা দূর করতে আই ড্রপ ব্যবহার করুন। এগুলি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।