দাম্পত্য জীবনে ঘনিষ্ঠতা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা বিষয়। শারীরিক আকর্ষণ, চাহিদা এসব থাকাটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোনও কোনও ক্ষেত্রে এমন হয় যে শারীরিক সম্পর্কে মিলনে অনীহা তৈরি হয় অনেকের। সে স্বামী-স্ত্রী হোক বা প্রেমিক-প্রেমিকা, দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের কাছে থেকেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন না। চিকিৎসকরা কিন্তু এই বিষয়টিকে মোটেই ভাল ভাবে নেন না। এর পরিণতিও ভাল হয় না।
কী কী ক্ষতি হতে পারে ?
দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত না হলে আপনার স্মৃতিশক্তি কমে যেতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত শারীরিক সম্পর্কে বাড়ে স্মৃতিশক্তি। বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি বয়স যাঁদের তাঁদের ক্ষেত্রে এটি বেশি করে প্রযোজ্য।
সম্পর্ক স্থাপনে বাড়ে প্রতিরোধশক্তিও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। আর মিলনে অনীহা দেখা দিলে এর বিপরীত সম্ভাবনা দেখা যায়। এছাড়াও শরীরে সংক্রমণ বাসা বাঁধতে পারে।
সম্পর্ক স্থাপনে অনীহা দেখা দিলে তা দূর করা দরকার। তা না হলে অনীহা থেকেই যাবে। যত দিন যাবে তা বাড়তে থাকবে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক থেকে বিরত রাখলে তা মানসিকভাবেও প্রভাবিত করে। এতে খিটখিটে হয়ে পড়তে পারেন আপনি। শরীরে নানা রকমের রকমের ব্যথাও হতে পারে। এছাড়াও মহিলাদের পিরিয়ডসের সময় বেশি ব্যথা অনুভব করতে হয়।
নিয়মিত মিলনে ভাল ঘুম হলে বলেও গবেষণায় দেখা গেছে। ক্লান্তি-অবসাদ দূর হয়।
আবার নিয়মিত মিলন না-হলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শারীরিক সম্পর্ক শরীরে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়।
চিকিৎসকদের মতে, এন্ডোরফিন এবং অক্সিটোসিনের মত হ্যাপি-হরমোন নিঃসৃত হয় শারীরিক সম্পর্কের কারণে। আপনি যদি দীর্ঘদিন সহবাস না করে থাকেন, তাহলে শরীর থেকে এই হরমোনগুলি কম নিঃসৃত হয়৷ ফলে মানসিক চাপের সঙ্গে লড়াই করা কঠিন হয়ে উঠতে পারে।