বাঙালি বাড়িতে কোনও শুভ কাজ হলেই শঙ্খ বাজানোর চল আছে। পুজো হোক কিংবা বিয়ে, শঙ্খ না বাজালে কোনও মঙ্গল কাজই সম্পূর্ণ হয় না। এই রীতি হিন্দুদের মধ্যে প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে, এটা কোন নতুন কথা নয়। হিন্দু ধর্মে শঙ্খ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমনকি বহু অতীত সময় থেকে বিশ্বাস যে শঙ্খ বাজালে প্রাকৃতির দুর্যোগ পর্যন্ত কমে যায়। কিন্তু শাঁখ বাজানোর ফলে শরীরের উপর কেমন প্রভাব পড়ে জানেন।

১) শাঁখে ফুঁ দেওয়ার কারণে ফুসফুস এবং গলার পেশির উপর চাপ পড়ে। এই চাপ পেশিগুলিকে দৃঢ় করে। ফলে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে শাঁখ বাজানো একটি ভাল ব্যায়াম।

২) জিভের জড়তার কারণে অনেকের কথা বলতে অসুবিধা হয়। নিয়মিত শাঁখ বাজালে সেই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।

৩) এই অভ্যাস থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৪) শুধু গলা বা ফুসফুসই নয়, শাঁখ বাজালে শরীরের নিম্নভাগেও তার প্রভাব পড়ে। পেটের পেশিতে চাপ পড়ার ফলে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়ে। এমনকি মূত্রাশয়ের পেশির উপকার হয় এর ফলে। মূত্র ধরে রাখার ক্ষমতাও বাড়ে। শাঁখ বাজালে প্রস্টেট গ্রন্থির পেশিতেও চাপ পড়ে। এই অভ্যাসের ফলে প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হতে পারে না।

৫) বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও নিয়মিত শঙ্খ বাজাতে পারেন। শাঁখ বাজানোর সময় মুখের ভাল ব্যায়াম হয়, এর ফলে ত্বকের বলিরেখাও দূর হয়

নিয়ম হল শঙ্খ তিনবার বাজাতে হয়। শঙ্খ বাজানো হয় জীবনে সুখ শান্তি ফেরানোর জন্য। বাড়ির আশেপাশে অশুভ শক্তি যাতে প্রবেশ না করতে পারে। আর বাড়িতে শুভ শক্তির প্রভাব বৃদ্ধির জন্য। তবে শাঁখ বাজানোর নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মগুলি মেনে চললে জীবনে সৌভাগ্য, শুভ শক্তির প্রভাব তৈরি হয়।

১) শ্বশুর-শাশুড়ির অসুখ হলে দিনে চার থেকে পাঁচ বার শঙ্খ বাজান। এটি খেলে এই অসুস্থতা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাবেন।

২) শঙ্খে ফুঁ দিলে স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়। স্মৃতিশক্তির বিকাশ ঘটলে জীবন সহজ হয়ে যায়।

৩) দেবী লক্ষ্মী এবং মহাদেবের ভক্তরা প্রতিদিন শঙ্খ বাজান। এতে দুই দেবতাই প্রসন্ন থাকেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here