
নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৮ ডিসেম্বর, কলকাতা: কলকাতা ম্যারাথন ২৫কে-এর দশম সংস্করণে গ্লোবাল এম্বাসেডর হিসেবে শহরে এসেছেন কেনি বেডনারেক।
আমেরিকার তরুণ এই প্রিন্টার স্পিন্টার পেশাদার সার্কিটে পা রাখেন ২০১৯ সালে। ছোট থেকে বহু কষ্ট করে বেড়ে ওঠা কেনি কেরিয়ারে কখনও পিছনে ফিরে দেখেননি। ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ২০০ মিটারের দৌড়ে রূপো জেতেনন তিনি। অলিম্পিকে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকেও। ২০০ মিটারের ফের এক বার রূপো জেতেন তিনি। এছাড়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ডায়মন্ড লিগে জেতেন সোনা।
বৃহস্পতিবার একান্ত সাক্ষাৎকারে কেনি বলেন, “এই শহরে ম্যারাথনের প্রতি যে ভালোবাসা তা দেখে আমার ভালো লাগছে। যত মানুষ এই ধরনের ইভেন্টে অংশ নেবে ততই আগামীর প্রতিভা বেরিয়ে আসবে।”
এদিন নিজের জীবনের লক্ষ্যের সম্পর্কে বলতে গিয়ে কেনি বেডনারেক বলেন, “অলিম্পিকে পদক পাওয়া যে কোনও অ্যাথলিটের কাছে স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন দু’বার আমি ছুঁতে পেরেছি। তবে দু’বারই রূপো। এ বার সোনার লক্ষ্যে ট্র্যাকে নামবো দেশের মাটিতে।” উল্লেখ্য ২০২৮ সালের লস এঞ্জেলেসে হবে অলিম্পিক।
মাত্র ২৮ বছর বয়সে সারা বিশ্বের সারা ফেলে দেওয়া স্প্রিন্টার খবর রাখেন ভারতের খেলাধুলারও। ২০২৬ সালে আহমেদাবাদে হতে চলা কমনওয়েলথ গেমসে ভারতীয় অ্যাথলিটদের সাফল্যের মন্ত্রও দিয়ে গেলেন কেনি। তিমি বলেন, “কমনওয়েলথ গেমস অত্যন্ত ঐতিহ্যশালী এক প্রতিযোগিতা। এই খেলা যদি দেশের মাটিতে হয় তা হলে সংশ্লিষ্ট দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে তাগিদ আরও বেশি থাকে। যারা ভারতের মুখ উজ্জ্বল করতে ট্রাকে নামবে তাঁদের আমার পরামর্শ অতিরিক্ত চাপ না নিয়ে নিজের পারফর্মেন্সের উপর ফোকাস রাখো। সাফল্য এমনিই আসবে।”



