হিন্দুধর্মের এক বিশেষ উৎসব হল দীপাবলি। এই দিন সারা বাড়ি আলোতে জ্বলজ্বল করে, তার সঙ্গে থাকে টুনি লাইটের সাঁজ। তবে বর্তমানে মাটির প্রদীপের দিন গিয়েছে। কমেছে মোমবাতি। আলোর উৎসব দীপাবলির রাতকে সাজিয়ে তুলতে এখন সাধারণ মানুষের প্রথম পছন্দ নানা রকম এলইডি-র রোশনাই। কিন্তু বাড়ির ভিতরে রংবেরঙের মোমবাতির সাজ দেখতে কিন্তু বেশ লাগে। খাবারের টেবিল হোক কিংবা সেন্টার টেবিল— নানা রঙের, নানা মাপের মোমবাতি দিয়ে সাজালে অন্দরসজ্জার ভোলই যেন বদলে যায়।
দীপাবলির আগে বাজারে মোমবতি কিনতে গেলে মধ্যবিত্ত বাঙালির গায়ে ছেঁকা লাগে। বাজারে মোমবাতির সাজে যত বদল এসেছে, ততই বেড়েছে মোমবাতির দাম। এ বারের বাজারে যেমন লাড্ডু থেকে কাজু বরফি সব রকমের মোমবাতিই বিক্রি হচ্ছে। তাদের দাম অবশ্য আকাশছোঁয়া। এর পাশপাশি সাবেকি প্রদীপ মোমবাতিও রয়েছে বাজারে, তবে সেগুলির দামও কম নয়।
যদি বলা হয়, জল, তেল আর রং দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় মোমবাতি! শুনতে অবাক লাগলেও, হাতের কাছের সামান্য ক’টি উপকরণ দিয়ে বাড়িতে অল্প দামেই মোমবাতি বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনি। চিন্তা নেই, এমন মোমবাতি তৈরি করতে সারা দিন সময় লাগবে না, ৫ মিনিটেই বানিয়ে ফেলতে পারেন সাধের মোমবাতিগুলি।
কীভাবে বানাবেন?
বাড়িতে বিভিন্ন নকশার ও বিভিন্ন মাপের কাচের গ্লাস থাকে। তেমনই একটি কাচের গ্লাস নিয়ে অর্ধেকের বেশি জল দিয়ে ভর্তি করুন। এ বার পছন্দের কোনও রং নিয়ে সেই জলে গুলে নিন। সুন্দর দেখানোর জন্য জলে খানিকটা স্পার্কেল গুলে দিতে পারেন। এ বার গ্লাসে জলের উপরি ভাগে দু’টেবিল চামচ তেল দিয়ে দিন। এ ক্ষেত্রে যে কোনও তেল ব্যবহা করতে পারেন। এ বার একটি মোটা প্লাস্টিকের শিট থেকে গোল করে একটি অংশ কেটে নিন। এ বার সেই গোল প্লাস্টিকের অংশের ঠিক মাঝখানে ছিদ্র করে দিয়ে প্রদীপের গোল সলতে নিয়ে সেই ছিদ্র দিয়ে ঢুকিয়ে দিন। এবার সলতে সমেত প্লাস্টিকের টুকরোটি তেলের উপর বসিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘরোয়া মোমবাতি।