‘দানা’র মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। এ নিয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিল প্রশাসন। শুরু থেকেই গোটা ঘটনার উপর নজর রাখছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের তিনি। জানান, পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাতভর নবান্নে থাকবেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে এমন জায়গাগুলি থেকে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে সকলে এখনও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেননি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৭ জন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। পরবর্তীতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে আসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮৫১টি ক্যাম্প চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরগুলিতে ৮৩ হাজার ৫৮৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে মুখ্যমন্ত্রী রাতে নবান্নে থাকলেও মুখ্য সচিব থাকছেন নিজের আবাসনে। সেখান থেকে তিনি খেয়াল রাখবেন পরিস্থিতির ওপর। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার রাতভর নবান্নে থাকব। আগামিকাল সকালবেলা মুখ্য সচিব আসবেন।’ এদিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করেন। সেগুলি হল ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬ এবং ১০৭০। নবান্নয় থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে ভয়ে না থেকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আতঙ্কে থাকবেন না, কোনও গুজবেও কান দেবেন না। সতর্ক থাকুন। পুলিশের পক্ষ থেকে যে জায়গা খালি করতে বলা হচ্ছে সেখানে একটি রাতের মতো মান্যতা দিন।’ উল্লেখ্য, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তিনি নবান্নে রাতভর থেকে গোটা পরিস্থিতির ওপর নজরদারি চালানোর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে জানিয়েছেন দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে, ১, ৫৯, ৮৩৭ জন মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে ইতিমধ্যে। সাধারণের কথা মাথায় রেখে ৮৫১ রিলিফ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ত্রাণ শিবিরে এখনও পর্যন্ত আশ্রয় নিয়েছেন ৮৩, ৫৩৭ জন।
সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকলকে সতর্ক থাকার জন্যও বলেছেন তিনি। ওড়িশার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়লেও বাংলাতেও যে তার যথেষ্ট প্রভাব পড়তে চলেছে, সে কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।