আগেকার দিনে বেশির ভাগ বাঙালি তথা ভারতীয় বাড়িতেই ফিটকিরি ব্যবহারের চল ছিল। তার কারণ, এর উপকারিতা অনেক। এর মধ্যে কয়েকটি এই নিবন্ধে লিখিত রইল।
জল পরিশুদ্ধ করতে- খাবার জলে এক টুকরো ফিটকিরি ফেলে রাখুন। এতে জলের মধ্যে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর কণা ধীরে ধীরে নীচে থিতিয়ে পড়ে যাবে। তারপর বাকি পরিষ্কার জল ছেঁকে খেয়ে ফেলুন।
বেকিং পাউডারের বিকল্প- কেউ কেউ রুটি, পাঁউরুটি বা কেক বেকিংয়ের ব্যাটারে ফিটকিরি গুঁড়ো মিশিয়ে দেন। তাতে ভাল বেক হয়। তবে এই পদ্ধতি সবসময় অবলম্বন করা ঠিক নয়।
গলা ব্যথা কমায়- আগেকার দিনে ফিটকিরি গুঁড়োর সঙ্গে মধু এবং আদা মিশিয়ে খাওয়া হত। এই ঘরোয়া টোটকায় গলার ব্যথা সেরে যেত। অ্যান্টিসেপ্টিক বৈশিষ্ট্য আছে বলে মনে করা হয়।
প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ- আচারে ফিটকিরি মেশালে অনেক দিন রেখে দিলেও তা নষ্ট হয়ে যায় না বলেই মনে করা হয়। আগে এভাবে অনেকে ঘরে আচারে বানাতেন।
গন্ধ দূর করে- ফ্রিজের ভিতরে এক টুকরো ফিটকিরি রেখে দিলে সব্জি এবং খাবারের কারণে ফ্রিজে ভ্যাপসা, বোঁটকা গন্ধ তৈরি হয়, তা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
ত্বকের পরিচর্যা- অল্প একটু গোলাপজলের মধ্যে ফিটকিরির গুঁড়ো মিশিয়ে দিলে তা ত্বকে মাখলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ত্বকে ব্রণ তৈরি হলে তাও দূর করতে পারে।
ফুল তাজা রাখে- ফুলদানিতে কয়েক ফিটকিরি গুঁড়ো ঢেলে দিলেই অনেক দিন পর্যন্ত ফুল তাজা রাখতে পারে। ফুলের রং নষ্ট হয়ে মুহ্যমান হয়ে পড়ে না খুব তাড়াতাড়ি।
রান্নাঘর পরিষ্কার রাখতে- খানিকটা জল গরম করে তাতে ফিটকিরির টুকরো মিশিয়ে দিন। ৫-১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এবার ফিটকিরি তুলে নিয়ে সেই জলে কাপড় চুবিয়ে সেটি দিয়ে রান্নঘরের তাক পরিষ্কার করুন। তুলনায় বেশি ভাল সাফাই করা যায়।