অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে হয় সন্ধিপূজা। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট হল, মোট ৪৮ মিনিট সন্ধিক্ষণ। এই সন্ধিপুজোর নেপথ্যে রয়েছে এক গল্প। আসুন আজ শুনে নেওয়া যাক সেই গল্পই।
মহিষাসুরকে বধের জন্য দেবী দুর্গাকে নির্মিত করেছিলেন দেবতারা। দেবী যুদ্ধের জন্য মহিষাসুরকে আহ্বান জানান।
হলুদ বস্ত্র পরিহিতা অবস্থায় মহামায়া অসুরের সামনে যান। সেই সময় দেবীর গায়ের রঙ ছিল কাঁচা সোনার মতো। তাঁর দশ হাতে সজ্জিত ছিল অস্ত্রে। মহিষাসুরের সঙ্গে ভয়ঙ্কর যুদ্ধে ব্যস্ত থাকাকালীন অসুরের দুই সহচর চন্ড ও মুন্ড পিছন থেকে দেবীকে আক্রমণ করেন। যুদ্ধের চুক্তি ভগ্ন হওয়ায় দেবী অত্যন্ত ক্রোধিত হন। দেবীর সেই ক্রোধ থেকে নির্গত্ হন এক দেবীর। তিনিই ত্রিনয়নী চামুন্ডা। এই চামুন্ডা রূপেই আদ্যাশক্তি বধ করেন চন্ড ও মুন্ডকে। সন্ধিপুজোয় তাই পূজিত হন দেবী চামুন্ডা।
অষ্টমী শেষ হয়ে যখন নবমী তিথি শুরু হয় তখনই সন্ধিপুজো করা হয়। আসলে সন্ধিপুজো হল সন্ধ্যার প্রতীক।