যাঁদের চুল পাতলা, মাথার ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা খুব ঘন তেল মাখতে পারেন না। সে ক্ষেত্রেও নারকেল তেল মাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। শুষ্ক, রুক্ষ চুলের যত্নেও অপরিহার্য নারকেল তেল। কিন্তু, চুলের যত্নে শুধু তেল মাখাই যথেষ্ট নয়। কেশসজ্জা শিল্পীরা বলছেন, সঠিক পদ্ধতিতে তেল না মাখলে কোনও লাভই হবে না।
চুলের যত্নে কী ভাবে তেল মাখবেন?
১) চুলের জন্য সব সময় হালকা বা কম ঘনত্ব-যুক্ত তেল বেছে নেওয়াই ভাল। তেমনই একটি তেল হল নারকেল তেল। নতুন চুল গজানোর জন্য জবা, রোজ়মেরি, ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে নারকেল তেল মাখা যেতে পারে।
২) এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু চুলের জন্য ভাল। নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি, ল্যাভেন্ডার, ইউক্যালিপটাস বা লেমনগ্রাস এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিলে মাথায় মাখার তেলের কার্যগুণ বৃদ্ধি পায়।
৩) মাথায় মাখার মিনিট দশেক আগে তেল হালকা গরম করে নিন। তার পর কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। তবে খুব গরম তেল মাথায় মাখা যাবে না। মাথার ত্বকে অস্বস্তি না হয়, এমন তাপমাত্রায় এলে তেল মাখা যাবে।
৪) এ বার মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল ভাল করে আঁচড়ে নিন। খেয়াল রাখতে হবে, চুলে যেন কোনও ভাবে জট না থাকে। খুব ভাল হয়, অল্প অল্প চুল ভাগ করে সিঁথি কেটে রাখতে পারলে। এতে তেল মাখতে সুবিধা হবে। মাথার ত্বকে সর্বত্র সমান ভাবে তেল পৌঁছবে।
৫) আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা হাতে তেল মেখে, মিনিট পনেরো মাসাজ করতে পারেন। খুব বেশি ঘষাঘষি কিন্তু করা যাবে না। এ বার গরম জলে তোয়ালে ডুবিয়ে ভাল করে নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন।
৬) মিনিট দশেক পর তোয়ালে খুলে ফেলুন। চাইলে তেল মেখে সারা রাত রেখে দিতে পারেন। না হলে আধ ঘণ্টা পর ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন।
৭) মাথায় তেল মাখার পর কখনওই চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন না। তাতে কিন্তু চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ উল্টে বেড়ে যেতে পারে। তেল মাখার পর অনেকে টেনে চুল বেঁধে রাখেন। এটিও চুলের জন্য ক্ষতিকর।