ধর্মতলায় ১০ দফা দাবিতে সাত জন জুনিয়র ডাক্তার অনশন করছেন। তাঁদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন সিনিয়র ডাক্তাররা। এবার আরও বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তাঁরা। অনশন ও আন্দোলনের সমর্থনে মঙ্গলবার গণ ইস্তফা দিলেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা।
গত শনিবার থেকে ধর্মতলায় অস্থায়ী মঞ্চ বেঁধে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের দাবিদাওয়া যাতে দ্রুত মেনে নেয় সরকার, সেই দাবিতে গণ ইস্তফা দিলেন ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার। সিনিয়র ডাক্তারেরা এ বার গণ ইস্তফা দেওয়ায় পুজোর মধ্যে বিঘ্নিত হতে পারে আরজি করের চিকিৎসা পরিষেবা।
সোমবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন, আগামী ১০ তারিখের মধ্যে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলির ৯০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজ শেষ হয়ে যাবে। যদিও মুখ্যসচিব কোনও মাসের উল্লেখ করেননি। তবে মনে করা হয় আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হওয়ার কথা বলেছেন তিনি। মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন, আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী হাসপাতালে রেফারেল সিস্টেমের পাইলট প্রোজেক্টও চালু হবে আগামী ১৫ তারিখ থেকে। লক্ষ্য ১ নভেম্বর থেকে রাজ্য জুড়ে ওই ব্যবস্থা চালু করা।
ঠিক তার পরদিনই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত নিলেন আরজি করের সিনিয়র ডাক্তারেরা। সরকারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।