কথাতেই আছে কাক ডাকা ভোর। অর্থাৎ কাকের ডাক শুনেই বোঝা যায় ভোর হয়েছে। আমাদের চারপাশে সচরাচর যে সব পাখি দেখা যায়, তার মধ্যে অন্যতম কাক। বাড়ির কার্নিশ, গাছের ডাল কখনও কাককে একা দেখা যায়, কখনও আবার দল বেঁধে। তবে হিন্দু ধর্মে কাককে তো শুভ মনে করা হয় না। বলা হয় কোনও বাড়িতে বসে যদি ক্রমাগত কাক ডাকে তাহলে সেই বাড়ির সদস্যদের কোনও না কোনও ক্ষতি হয়। কিন্তু বাড়ির বারান্দা বা ছাদে কাক বসা কি সত্যিই অশুভ? কী তার তাৎপর্য রয়েছে? জেনে নেওয়া যাক…
কাক হল কর্মফলদাতা শনিদেবের বাহন। তাই শনিবার বাড়িতে কাক এলে তাকে তাড়ানো উচিত নয়। শনিবার সকালে কাককে খাবার খেতে দিলে ভাল। এতে শনিদেব তুষ্ট হন।
সকালে বাড়ির বারান্দায় জোড়ে জোড়ে কাক ডাকলে বুঝবেন বাড়িতে আজ নির্ঘাৎ কোনও অতিথি আসবেন।
হিন্দুধর্মে কাককে যমরাজের দূত বলা হয়। সেই কারণে কারও মৃত্যু হলে কাক এসে পিণ্ড খেয়ে গেলে মনে করা হয় যে, বিদেহী আত্মা ওই খাবার গ্রহণ করেছে।
দুপুরবেলা বাড়ির উত্তর দিকে বসে যদি কাক ডাকে তাহলে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে তা শুভ বলে পরিগণিত হয়।
বাইরে বেরোনোর আগে যদি দেখেন, বাড়ির জানলায় বসে কাক ডাকছে, তাহলে বুঝবেন যে কাজের অন্য যাচ্ছেন তা সফল হবে।
অনেকেই কাক জল দেন। আপনার দেওয়া জল যদি কাক খায় তাহলে বুঝবেন তা আপনার জন্য ভাল। কাক জল খেলে অর্থাগম হয়।
খাবার নিয়ে কাককে উড়ে যেতে দেখলেও তা শুভ।
তবে কাকের সবই যে শুভ বলে মনে করা হয় তা নয়। কিছু ক্ষেত্রে অশুভ ব্যাপার স্যাপারও রয়েছে। সেগুলি কী কী চলুন জেনে নেওয়া যাক…
একদল কাক এসে যদি বাড়ির বারান্দায় ডাকে, তা হলে তা শুভ নয়। কোনও খারাপ কিছু ইঙ্গিত করে।
বাড়ির দক্ষিণ দিকে কোথাও বসে কাক ডাকলে তা অশুভ।