
নিজস্ব প্রতিবেদন, কলকাতা, ৬ নভেম্বর: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি সভাপতি হওয়ার পর ইডেন গার্ডেন্স এবং সিএবি’কে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার নিয়েছেন। মহারাজের রাজ্যপাটে বঙ্গ ক্রিকেট অন্য মাত্রায় পৌঁছবে সেই বিষয়ে দ্বিমত থাকতে পারে না। কিন্তু রাজার পারিষদ’রা কতটা যোগ্য সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে।
সিএবি’র যুগ্ম সচিব মদন মোহন ঘোষের জন্য বোর্ডের কাছে মুখ পুড়লো সিএবি-র। বোর্ডের ম্যাচের দায়িত্ব পেয়ে উপযুক্ত পিচ তৈরি করতে ব্যর্থ সিএবি কর্তারা। বোর্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলাদের টি-২০ ক্রিকেটের এলিট গ্রূপের দুটি প্রি-কোয়ার্টার ম্যাচ (অন্ধ্রপ্রদেশ-রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশ-দিল্লি) আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছিল সিএবি। বৃহস্পতিবার ম্যাচটি হওয়ার কথা ছিল দেশবন্ধু পার্কে। বুধবার ম্যাচ অফিসিয়ালরা দেশবন্ধু পার্কে গিয়ে দেখেন পিচ খেলার উপযুক্ত নয়। তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডকে জানায় বিষয়টি। সম্পূর্ণটা জেনে সিএবি-কে মেল করে নট ফিট টু প্লে বলে জানিয়ে দেন বোর্ডের জেনারেল ম্যানেজার আবে কুরুভিল্লা। সিএবি কর্তারা তখন বাধ্য হয়ে ম্যাচ দু’টি বারাসতে সরিয়ে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনায় বিরক্ত বোর্ড।
সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ব্যক্তিগত কারণে কিছু দিন ছিলেন দেশের বাইরে। কিন্তু সিএবি-র বাকি কর্তারা কলকাতা শহরেই ছিলেন। শোনা যাচ্ছে, পুরো দায়িত্বটা ছিল যুগ্ম সচিব মদন ঘোষের উপর। এই ব্যর্থতার দায় তিনি এড়াতে পারেন না, মত সিএবি’র বিভিন্ন মহলের। গত বার এই যুগ্ম সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন দেবব্রত দাস। তাঁর দুর্নীতিতে সিএবি-র মুখ পোড়ে। সঞ্জয় দাস, প্রসেনজিৎ ব্যানার্জী, শ্রীমন্ত কুমার মল্লিকরা থাকতে কেন মদন ঘোষকে সিএবি-র যুগ্ম সচিবের মতো দায়িত্ব দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। স্বাভাবিক ভাবেই সিএবি-র নতুন কমিটি সদস্যদের দায়িত্ববোধ নিয়েও থাকছে প্রশ্ন চিহ্নি। মুখ পুড়ছে সিএবি-র। শেষপর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী এই ম্যাচ হচ্ছে বারাসতে।



