
দেবী দুর্গার আবির্ভাব দিয়ে উৎসবমুখর বাঙালি পুজোর যে আবেশ গায়ে মেখেছিল তা পূর্ণতা পাচ্ছে জগতের যিনি ধাত্রী, অর্থাৎ যিনি এই বিশ্বকে মায়ের আঁচলের মত করে আগলে রেখেছেন সেই দেবী জগদ্ধাত্রী’র আরাধনার মধ্যে দিয়ে।
চন্দননগর মানকুন্ডু’র জগদ্ধাত্রী পুজো সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ হলেও পিছিয়ে নেই শহর কলকাতাও। যে শহরে থিমের দুর্গা দেখতে মাইলের পর মাইল হাটেন মানুষ এই শহর নজর কাড়ছে দেবী জগদ্ধাত্রী’র আরাধনায়। শ্যামবাজার সংলগ্ন টালা পোস্ট অফিসের পাশে ঝাওয়ার পরিবারের জগদ্ধাত্রী পুজো প্রতিবছরই যেন অন্য উচ্চতা পাচ্ছে। পারিবারিক পুজো হলেও স্থানীয় অঞ্চলের মানুষদের নিয়েই দেবীর আরাধনায় ব্রত হন শ্রী রতন ঝাওয়ার, প্রেম রতন ঝাওয়ার এবং নবরতন ঝাওয়ার। প্রতিবারের মতো এইবারও পুজোর উদ্বোধন করলেন বাগবাজার উদ্বোধনের মহারাজ। বৈদিক মন্ত্র পাঠ এবং মহারাজের উপস্থিতিতে ব্যস্ত জনজীবন হঠাৎই যেন ক্ষনিকের জন্য থমকে গিয়েছিল। কারণ দেবী দুর্গা আবার যে মর্ত্যে ফিরলেন জগদ্ধাত্রী রূপে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দুস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হয় কম্বল। দেওয়া হয় শাড়িও। কোনও বাদ বিচার ছিল না, যার যেমন প্রয়োজন এক কিংবা একাধিক, কোন কার্পণ্য করেননি ঝাওয়ার পরিবার। শীতের প্রাক্কালে মানবতার এর থেকে বড় উদাহরণ আর কি বা হতে পারে!



