রোজের অফিস অথবা পেশাগত কাজ সেরে, সংসার সামলে আর দোকানে দোকানে ঘুরে কেনাকাটির বিশেষ সময় থাকে না। অতএব অনলাইনই ভরসা। এতে যাতায়াতের ঝক্কি নেই, সময়ও বাঁচে। পুজোর এই সময়টাতে এখন অনলাইনে দেদার কেনাকাটি চলছে। ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড, ই-ব্যাঙ্কিং পরিষেবা-সহ লেনদেনের বিভিন্ন রকম ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই সাবধান না থাকলে, তথ্যের গোপনীয়তা তো থাকবেই না, সাইবার জালিয়াতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারানোর ঝুঁকিও বাড়বে।
অনলাইনে কেনাকাটির সময়ে কী কী সাবধানতা মানবেন?
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড
অনলাইনে অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে শক্তিশালী পাসওয়ার্ডই দরকার। অন্তত ১২টি অক্ষর দিয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। তাতে সংখ্যা, বর্ণ, বিশেষ অক্ষর মিলিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। অন্তত তিন মাস অন্তর পাসওয়ার্ড বদলাতে হবে। পাসওয়ার্ড যত জটিল হবে, ততই শক্তিশালী হবে।
মোবাইলে অ্যান্টিভাইরাস সফট্ওয়্যার
মোবাইল বা যে ডিভাইস থেকে কেনাকাটি করছেন সেখানে অ্যান্টিভাইরাস সফট্ওয়্যার ইনস্টল করতেই হবে। যে অ্যাপগুলি ডাউনলোড করছেন, সেগুলি আগে স্ক্যান করে নিন। গুগ্ল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ইনস্টল করার আগে তা ভাল করে যাচাই করে নিতে হবে। অ্যান্টিভাইরাস সফট্ওয়্যার দিয়ে সময়ান্তরে স্ক্যান করে দেখতে হবে কোনও ম্যালওয়্যার আছে কি না। থাকলে সেই অ্যাপ সঙ্গে সঙ্গে মুছে দিন ডিভাইস থেকে।
ওটিপি কাউকে দেবেন না
আপনার ডিজিটাল লেনদেনের অতিরিক্ত সুরক্ষা দেওয়াল। হ্যাকার যদি কোনও ভাবে লেনদেনের আইডি-তে ঢুকেও পড়ে, তা হলেও যাতে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরাতে না-পারে, সে জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ফোন বা ই-মেলে ওটিপি পাঠানো হয়। এই ওটিপি দ্বিতীয় কাউকে দেবেন না।
টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন
অনলাইনে নিরাপদ থাকতে পাসওয়ার্ডের পাশাপাশি টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করতে হবে। এতে বাড়তি সুরক্ষা যোগ হবে এবং অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।
মোবাইল অ্যালার্ট
ব্যাঙ্কের থেকে সব সময়ে মোবাইল অ্যালার্ট পরিষেবা নিন। তা হলে প্রতিটি লেনদেনের এসএমএস মোবাইলে আসবে। ভুয়ো লেনদেন হলে সেটাও জানতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সময় নষ্ট না-করে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন। ব্লক করুন কার্ড। যাতে ওই অ্যাকাউন্টে দ্বিতীয় বার আর একই ধরনের ঘটনা না-ঘটে।