কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে তারাপীঠে প্রতিবছর বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। প্রতি বছর এই সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন পুজো দিতে। তারাপীঠ মহাশ্মশানে দূর দূরান্ত থেকে ভিড় করেন তন্ত্রসাধকররা।
কৌশিকী শব্দের আভিধানিক অর্থ, আদ্যাশক্তির রূপ বিশেষ। পুরাণ মতে, কৌশিকী রূপেই শুম্ভ নিশুম্ভকে বধ করেছিলেন আদ্যাশক্তি। তাই এই দিনটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় তারাপীঠে। কৌশিকী অমাবস্যার রাত তারাপীঠে একদম অন্যরকম। তবে এর মাহাত্ম্য জানলে শিহরিত হবেন যে-কেউ!
হিন্দু তন্ত্রমতে, এই তিথিতে কঠোর তপস্যা করলে মেলে আশানুরূপ ফল। আবার এই তিথিতেই সাধনা করেন বৌদ্ধ তান্ত্রিকরাও। তন্ত্র মতে এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়৷ তান্ত্রিকরা মনে করেন, এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খুলে যায় এদিন। সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধি লাভ করেন৷ কৌশিকী অমাবস্যা, অন্য সব অমাবস্যার থেকে একটু আলাদা। তন্ত্র ও শাস্ত্র মতে, ভাদ্র মাসের এই তিথিতে অনেক কঠিন সাধনায় সিদ্ধিলাভ করা সম্ভব।
কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতেই সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামাখ্যাপা। তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেত শিমূল গাছের নিচে বসে সাধনা করেছিলেন তিনি। তাই ভক্তদের ধারণা, এদিন মা-কে ডাকলে তিনি সাড়া দেন, খালি হাতে ফেরান না।