দেবী শ্বেতাম্বর, হাতে বীনা ও বেদ, এর নেপথ্য কারণ জানেন
শ্বেতপদ্মাসনা দেবী, শ্বেতপুষ্পপশোভিতা,
শ্বেতাম্বরধরা নিত্যা শ্বেতগন্ধানুলেপনা,
শ্বেতাক্ষশুভ্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চিতা,
শ্বেতবীনাধরা শুভ্রা শ্বেতলঙ্কারভূষিতা।
মাঘ মাসে শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে দেবী সরস্বতী পূজিতা হন। দেবী শ্বেতবর্ণা, শ্বেতপুষ্প দ্বারা পূজিত। শ্বেতপদ্মের ওপর অধিষ্ঠান করছেন ভারতী। সর্বাঙ্গে সাদা অলংকার তাঁর। শুভ্র বীনায় বীনাপাণি দেবী। অন্যহাতে পুস্তক।
দেবী কেন শ্বেত বর্ণের তা জানেন? শ্বেত অর্থাৎ শুভ্রতা হল পবিত্রতার ইঙ্গিতবাহী। সত্ত্বগুনের প্রতীক হল সাদা। দেবী শুক্লবর্ণ, তাই তিনি দোষহীনা। জ্ঞানদান করে সরস্বতী হয়ে উঠেছেন জ্ঞানদা।
বাগাদেবীর বাহন হল রাজহংস। চানক্য বলে গিয়েছেন, “.”শাস্ত্র অনন্ত, বিদ্যাও প্রচুর। সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক।
তাই যা সারভূত তারই চর্চা করা উচিত।
হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে
শুধু দুধটুকুই তুলে নেয়,তেমনি।“ হাঁস হল এমন একটি পাখি যে অসার অংশকে ত্যাগ করে সারবস্তুটিকে তুলে নেয়। তাই দেবীর সঙ্গে বাহন রূপে পূজিত হয়ে রাজহংস এই বার্তাই দেয় যে যা অকল্যাণকর, খারাপ তা ত্যাগ করে ভালটুকু গ্রহণ কর।
দেবী সরস্বতী বীনাপাণি। তাঁর হাতে থাকে বীনা। আজ যারা ছাত্র কাল তাঁরাই দেশ গড়বে, তাই তাঁদের মুখ থেকে যেন বীনার শব্দের ন্যায় মধুর শব্দ নির্গত হয় সেই জন্যই পুজিত হয় বীনাও। তাই তো সারদা বীনাপাণি।
সরস্বতী পুজোয় দেবীর সামনে বই রাখা হয়। দেবী জ্ঞানতা, হিন্দু ধর্মের জ্ঞানের ভাণ্ডার তাঁর হাতে। বিদ্যার্থীরা যাতে সঠিক জ্ঞানার্জন করতে পারে সেই জন্য দেবীর উপাসনা করে।