অভিমন্যু ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের বোন সুভদ্রা ও মধ্যম পাণ্ডব অর্জুনের পুত্র। তাই কৃষ্ণ ছিলেন অভিমন্যুর মামা। তা সত্ত্বেও মাধব প্রাণ রক্ষা করেননি ভাগ্নের। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে যিনি জগতের পালক তিনি কেন শূন্য হতে দিলেন প্রিয় ভগিনীর কোল। এর নেপথ্যে রয়েছে এক কাহিনী।

অভিমন্যুর জন্মের আগেই তাঁর বাবা মৃত্যুর বয়স নির্ধারণ করেছিলেন। পূর্বজন্মে অভিমন্যু ছিলেন চন্দ্রদেবের পুত্র।  নারায়ণ যখন ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীতে কৃষ্ণ অবতারে আসতে চলেছেন, তখন সমস্ত দেব-দেবীরা ঈশ্বরের লীলা দেখার জন্য কোনও না কোনও রূপে পৃথিবীতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। অনেক দেব-দেবী মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিলেন, আবার অনেকে তাঁদের অংশ বা পুত্রদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যেমন- সূর্যের পুত্র কর্ণ, ইন্দ্রের পুত্র অর্জুন। কিন্তু চন্দ্রদেব এক্ষেত্রে নিজ পুত্রকে পাঠাতে চাইছিলেন না। তখন দেবতারা চন্দ্রদেবকে বলেন পুত্র ‘ভারচা’কে পৃথিবীতে পাঠাতে। কিন্তু চন্দ্রদেব ছেলেকে খুব ভালোবাসতেন, তিনি জানিয়েছিলেন ভারচার থেকে দূরে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

সমস্ত দেবতা চন্দ্রদেবকে অনেক অনুরোধ করলে, চন্দ্রদেব রাজি হলেন। কিন্তু বললেন যে তিনি তাঁর পুত্রকে ১৬ বছরের জন্য পৃথিবীতে পাঠাতে পারবেন, তারপরে ভারচাকে আবার ফিরে আসতে হবে চন্দ্রদেবের কাছে। চন্দ্রদেবের এই পুত্র ছিলেন অর্জুনের পুত্র অভিমন্যু। ভগবান শ্রী কৃষ্ণ তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি ১৬ বছর পর তাঁর পুত্রকে পিতার কাছে ফেরত পাঠাবেন। এই প্রতিশ্রুতির কারণে, অভিমন্যু ১৬ বছর বয়সে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here