জন্ম থেকে খায়নি সে। যা খেত তাই বমি হয়ে যেত। সকলেই ভেবেছিলেন মেয়ে আর বাঁচবে না। সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে স্কুলে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সেই খুদে।
জন্ম থেকেই খেতে পারত না ছোট্ট বেলা। যা খেত তাই বমি করে দিত সে। খাবারের কোনও স্বাদই পায়নি জন্ম থেকে। বিষয়টি প্রথম নজরে আসে বেলার মায়ের। সকলে বলেছিলেন শিশুর ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক। বিশ্বাস হয়নি মায়ের। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। চিকিৎসকরা জানান এক বিরল রোগে আক্রান্ত তাঁর সন্তান। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের একটি ধরনে জন্ম থেকে ভুগছে শিশুটি। এর ফলে বেলা কোনওদিনই আর পাঁচটা স্বাভাবিক শিশুর মতো চলাফেরা করতে পারবে না। কথা বলা শিখবে না। চিকিৎসকের বলা যাবতীয় সম্ভাবনাকে ভুল প্রমাণিত করে দিয়েছে ৫ বছরে খুদে।
এখন সে স্কুলে গিয়ে রীতিমত দাপিয়ে বেড়ায়। বন্ধুর কোনও শেষ নেই তাঁর। এখনও খাবার গিলতে পারে না বেলা। তাই নাকের সঙ্গে একটি নল সংযোগে চলে খাদ্যসেবন। খুব তাড়াতাড়ি সে আর পাঁচজনের মতো মুখ দিয়েই খেতে পারবে। তার জন্য দরকার অস্ত্রোপচারের। সেই জন্য আটলান্টার মার্কাস অটিজম সেন্টারে গিয়ে মাসখানেক থাকতে হবে বেলাকে। তারপরেই সে এক্কেবারে সুস্থ। বর্তমানে মেয়ের পুরোদমে সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষায় দিন গুনছে তার পরিবার।