এখন বর্ষা, আর এই সময়টায় যদি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তবে একটি জায়গার সন্ধান আমরা আপনাকে দিতে পারি। এই স্থানেই রয়েছে একটি জলপ্রপাত। নাম রামরাম জলপ্রপাত। জলপ্রপাতটি সাতপুরা মৈকাল রেঞ্জের সবুজ পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত। এখানে ছোট-বড় একাধিক জলপ্রপাত রয়েছে যা প্রতিদিন পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে। জলপ্রপাতের পাড় দিয়ে খুব সুন্দর সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। রামরামক্ষেত্রের পাহাড়ে নির্মিত গুহায় বিভিন্ন মূর্তি স্থাপিত হয়েছে। যার সঙ্গে লক্ষাধিক ভক্তের বিশ্বাস জড়িত। এই পাহাড়ে নির্মিত গুহায় শিবের একটি প্রাচীন শিবলিঙ্গ রয়েছে যেখানে ভক্তরা অটুট বিশ্বাসের সঙ্গে তাদের ইচ্ছা নিয়ে আসে। এই জলপ্রপাতটি বনাঞ্চলের ভারশিবানীর অধীনে আসে যা রামরাম মহাদেব মন্দির নামেও পরিচিত।এখানে বহু বছরের প্রাচীন শিব-পার্বতীর মূর্তি স্থাপিত। এখানকার অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য ও জলপ্রপাত দেখতে প্রতিদিন পর্যটকদের ভিড় জমে।
ভগবান শঙ্কর পাহাড়ের একটি সরু গুহায় অতি প্রাচীন শিবলিঙ্গের আকারে বিরাজমান, যার বয়স কত বছর তা কেউ জানে না। একই সময়ে পার্বতীর মূর্তিটিও প্রায় ৯০০ ফুট উপরে একটি গুহায় রয়েছে। প্রাচীন এই শিব মন্দিরের কাছে প্রবাহিত হয়ে চলেছে রমরমা জলপ্রপাত। সেই জলপ্রপাতের জলে মহাদেবের জলাভিষেক ঘটে সর্বসময়।
জলপ্রপাত থেকে প্রবাহিত জলের নীচে নির্মিত কুণ্ড সম্পর্কে বলা হয় যে এই কুণ্ডের জল সারা বছরই পূর্ণ থাকে। এই জলাশয়ের গভীরতা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। এমনও একটি বিশ্বাস রয়েছে যে ভগবান শঙ্কর যখন তাঁর পরিবার নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এই পাহাড়ে পৌঁছেছিলেন, তখন তিনি পাহাড়ের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং এখানকার সুন্দর পাহাড়ের আশ্চর্যজনক ছায়া মহাদেবের উপর এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে তিনি এখানে থেকে গিয়েছিলেন। তখন থেকেই এই গ্রামের নাম হয় রামরাম। শিব মহাপুরাণেও এর উল্লেখ রয়েছে।